হিন্দু আইনে অবিভাজ্য সম্পত্তি বলতে কি বুঝায়?

হিন্দু আইনে সম্পত্তিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং সেগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত। এছাড়াও, প্রতিটি সম্পত্তির আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি রয়েছে। হিন্দু সম্পত্তিকে মূলত দুই প্রকারে শ্রেণী বিন্যাস করা হয়েছে। যেমন-
        (১) যৌথ হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি (Joint Hindu Family Property); এবং
        (২) পৃথক সম্পত্তি (Separate Property)।

নিম্নে হিন্দু আইনের আলোকে অবিভাজ্য সম্পত্তির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং উত্তরাধিকার নীতি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।


হিন্দু আইনে অবিভাজ্য সম্পত্তি বলতে কি বুঝায়?

হিন্দু আইনে অবিভাজ্য সম্পত্তি বলতে বিশেষ সম্পত্তিকে বোঝায় যা বিভাজন বা ভাগ-বন্টন করা যায় না এবং সাধারণত একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যের হাতে ন্যস্ত থাকে। যেমন- পারিবারিক মন্দির, দেবতা, সরকারী দান, এবং উপাধি, ইত্যাদি।

অবিভাজ্য সম্পত্তির বৈশিষ্ট্য

অবিভাজ্য সম্পত্তির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-
  • এগুলি যৌথ সম্পত্তির অন্তর্গত;
  • এগুলিকে ভাগ করা যায় না;
  • অবিভাজ্য সম্পত্তি যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি হলেও তা জ্যেষ্ঠ সদস্যের কর্তৃত্বে থাকে;
  • অবিভাজ্য সম্পত্তি জ্যেষ্ঠ সদস্যের কর্তৃত্বাধীন হলেও তা তার নিজের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয় না;
  • এই ধরনের সম্পত্তিতে সহ-অংশীদারিত্বের কোন অস্তিত্ব নেই;
  • এগুলি সকলের ব্যবহার্য সম্পত্তি। যেমন- পুকুর, মন্দির, ইত্যাদি।
  • যদিও এই সমস্ত সম্পত্তি একজন সদস্যের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে অন্যান্য সদস্যদের ইচ্ছা অনুযায়ী এগুলি উইল বা দান করা যেতে পারে।

অবিভাজ্য সম্পত্তির উত্তরাধিকারের নীতি

অবিভাজ্য সম্পত্তিতে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির অধিকারের নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। দায়ভাগ মতানুসারে, পরিবারের জ্যৈষ্ঠ পুরুষ উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে।এছাড়া, যদি এগুলি স্বোপার্জিত (Self-earned) হয়, তাহলে মিতাক্ষরা বিধানানুসারে স্বোপার্জিত সম্পত্তির মত উত্তরাধিকার নীতি কার্যকর হবে।